ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক যানযট মুক্ত করতে হবে: হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি খাইরুল আলম

Passenger Voice    |    ০৮:১০ পিএম, ২০২৪-০৪-০৪


ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক যানযট মুক্ত করতে হবে: হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি খাইরুল আলম

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ঈদ যাত্রা নিরাপদ করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যততত্র পার্কিং বন্ধ করতে হবে।তাছাড়া জাতীয় মহাসড়ক দখল করে অবৈধভাবে কোন স্থাপনা নির্মাণ করা যাবেনা। ইতিমধ্যে যানযট নিরসনে কুমিল্লা হাইওয়ে রিজিয়ন নানা উদ্যোগ নিয়েছে। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে মহাসড়ক ত্রি চক্রযান চলাচল ও টোকেন বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। যারা ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসে সেসব যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে আবার কর্মস্থলে ছুটে যেতে পারে সেজন্য ফিটনেস বিহীন গাড়ি, লাইসেন্স বিহীন চালক ও উল্টো পথে যান চলাচল বন্ধ করতে হবে। ঈদকে সামনে রেখে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশকে আরো মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ খায়রুল আলম।

বৃহস্পতিবার ৪ এপ্রিল বেলা বারোটার দিকে পরিবহন মালিক শ্রমিক ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় ও সমন্বয় সভায় এসব কথা বলেন অতিরিক্ত ডিআইজি খাইরুল আলম।

হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের ডিআইজি মোঃ খায়রুল আলমের সভাপতিত্বে ও কুমিল্লা রিজিয়নের এএসপি মাসুদ আলমের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খোকন চন্দ্র ঘোষ, কুমিরা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ,চট্টগ্রাম ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ শহীদুল ইসলাম,পটিয়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম তৌফিক, সীতাকুণ্ড থানা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মোঃ আশরাফুল আলম, বিআরটিএর কর্মকর্তা পলাশ খিশা, কমিউনিটি পুলিশ বার আউলিয়া সভাপতি এসএম মাকসুদুল আলম, চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ট্রেলার এসোসিয়েশনের সভাপতি সহ বিভিন্ন সাংবাদিক বৃন্দ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক দখল করে আবুল খায়ের, কেডিএস, জিপিএইচ সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের লরী ও কাভার্ডভ্যান পার্কিং করে সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।এতে করে যাত্রীরা মর্মান্তিকভাবে দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে।প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিলে হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তাদের অন্যস্থানে বদলী করে দেওয়া হয়। সীতাকুণ্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকা হিসেবে পরিচিত সেই সুবাদে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকদের প্রভাবে চালকরা মহাসড়কে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে পথচারী ও যাত্রীদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।দুঃখের বিষয় বলতে হচ্ছে দিন দিন আমাদের সবুজ শ্যামল এলাকা মৃত্যুকুপে পরিণত হয়েছে।তাছাড়া কোন নিয়মনীতি না মেনে ডিপো গড়ে ওঠেছে যেখানে কোন টার্মিনালের ব্যাবস্থা নেই,চালকদের বিশ্রাম করার ব্যবস্থা নেই,নেই কোন টয়লেট।অনেক প্রতিষ্ঠানের টার্মিনালে গাড়ি রাখার ধারণ ক্ষমতা ১০০ কিন্তু তারা অতিরিক্ত ৫০০ গাড়ি রাখতে চাই।এক্ষেত্রে ধারণ ক্ষমতার বাইরের গাড়িগুলো মহাসড়কে পার্কিং করে যানযটের সৃষ্টি করে।আর এসব প্রতিষ্ঠান থেকে উপঢৌকন নিয়ে চুপ থাকেন কর্মকর্তারা।